Saturday, September 29, 2012

ভাগ্য


ভাগ্য কী? সুযোগ, সুবিধা ও আর্থিক সচ্ছলতার পরিবেশ, মস্তিস্ক বা হস্ত রেখা নহে, আত্মবিস্সাস ও কর্ম নিষ্ঠার সমাবেশ.
ভাগ্য কি মানুষ নিজ হাথে গড়তে পারে? যদি দ্রির্হ প্রতিজ্ঞ হয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে পারে.
ভালো কি মন্দ, এ তো নিজ হাথের সৃষ্ঠি, গভীর জলে তলিয়ে দেখো, রাখো পারখী দৃষ্টি.
কভু উজ্জল সূর্যের আলো, কভু ঘন ঘটা মেঘ, কভু খুশির আবেগ, কভু বুঝি উদ্বেগ.
ভাগ্যের জোরে কেহ নৃপ, কেহ পথের ভিখারী, সঞ্চিত জ্ঞানের সদুপয়োগে কেহ ধনী, কেহ পথচারী.
গীতার বচন-'কর্ম সর্বস্স', ভাগ্যকে কেন দাও দোষ, অলস মস্তিস্ক, শারীরিক শিথিলতার অধীন তুমি, কেন কর রোশ.
দ্রির্হ বিশ্সাস, অটুট চেষ্ঠার ফলে পঙ্গু যদি পর্বত লঙ্ঘিতে সক্ষম, নিরাশ হওয়ার নাহি কোনো কারণ, তুমি নহ অক্ষম.
আশা, ভরসা, সম্মুখে আন্ধার, অগ্নিশিখা সম উজ্জল ভবিস্যতের পথ, আছে বাহুবল, সুস্থ সবল মনে, পদচারণে এগিয়ে চল, আসবেনা কোনো রথ.
কাম-দাম, লোভ-ক্ষোভ, হিংসা-দ্বেষ মানুসের নিষ্ক্রিয়তার ফল, ভাগ্যকে পিছু ফেলে অগ্রসর হয় ভবিস্যতের পথে, সাথে আছে তব বাহুবল.

Friday, September 21, 2012

দুর্গত্সবের আহবান




প্রিয় বন্ধু বান্ধব্গনে, সপরিবার, সবান্ধবে তত্পর হও মায়ের আবাহনে,

বর্ষার হলো যে ইতি, আকাশে আশ্বিনে মেঘের গীতি

বাতাসে দোলে মনোরম কাশ শিউলিতে ভরা শাখ, সুমধুর বাজে ওই প্রাকৃতিক ঢাক.

পার হয়ে গেল একটি বর্ষ, চিন্তা-ভাবনা,সুখ-দুক্ষের সমাগমে,

সকল সংযুক্ত প্রচেষ্টায়ে মাকে ঘরে আনি সমাদরে.

ফুল-চন্দন, ধূপ-ধুনা প্রদীপ্ত আলোয়ে মায়ের রূপ প্রজ্জলিত,

প্রকিতির এক চমত্কার, মায়ের নাম জপে সকলে উল্লাসিত.

বাকি আছে বহু কাজ, সাড়ি-গহনা, পূজার ব্যবস্থাপনা,

সাজিয়ে নাও বরন্দালা, আল্পনা আর ঘট স্থাপনা.

মায়ের রূপ সদাই অপরূপ, মায়ের অঙ্গে ডাকের সাজ,

এই চারদিন সকলে খুশি, নব উত্তেজনায়ে হবে কাজ.

যে মদের নিজের মা, বিশেষ নিমন্ত্রণের প্রয়োজন কি বা,

যথাসাধ্য আয়োজন করেছি মাগো, ভুল-ত্রুটি সব ক্ষমা কর মা.